পাওয়ার প্লে’তে উইকেটশূন্য বাংলাদেশ


বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ২৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করছে ভারত। উইকেটে আছেন শিখর ধাওয়ান (৩২) ও রোহিত শর্মা (৩১)। এ রিপোর্ট লেখা অবধি ভারত ১০ ওভারে বিনা উইকেটে তুলেছে ৬৩ রান।
শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের ভারতের বিপক্ষে সেমি ফাইনালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৬৪ রান।
দ্বিতীয় সেমিতে টস জিতে ভারতের দলপতি বিরাট কোহলি আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। টস জেতার পর স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক কোহলি। টস জিতলে ফিল্ডিং নিতেন মাশরাফি বিন মর্তুজাও। প্রথম সেমিতে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঐতিহাসিক মঞ্চের ফাইনালে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই দ্বিতীয় সেমিতে ভারতের বিপক্ষে নেমেছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বার্মিংহামের এজবাস্টনে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা ৪০মিনিটে। টসের পর বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কিছুটা দেরিতে ম্যাচটি শুরু হয়।
লাল-সবুজের জার্সিধারীদের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করেন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বিদায় নেন সৌম্য সরকার। ভুবনেশ্বর কুমারের ষষ্ঠ বলে বোল্ড হন তিনি। অনেক বাইরের বল স্টাম্পে টেনে বিপদ ডেকে আনেন সৌম্য। এরপর জুটি গড়েন তামিম-সাব্বির। ভালো শুরু হলেও এই জুটি টেকেনি সাব্বিরের ভুলে। শুরু থেকেই আত্মবিশ্বাসী সাব্বির ইনিংসের সপ্তম ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে ক্যাচ তুলে দেন জাদেজার হাতে। বিদায়ের আগে তিনি ২১ বলে চারটি চারের সাহায্যে করেন ১৯ রান। দলীয় ৩১ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে বোল্ড হন তামিম। তবে, ‘নো বল’ হওয়ায় বেঁচে যান তিনি। এর আগের ফ্রি হিটেও ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তামিম। শুরুতেই সৌম্য, এরপর সাব্বিরের বিদায়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তামিম ইকবাল। কিন্তু, এরপরই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে খোলস ছেড়ে বের হন তামিম। ইনিংসের ২৮তম ওভারে বিদায় নেন ইনিংসের ভিত গড়ে দেওয়া তামিম। কেদার যাদবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে ফেরেন তিনি। সুইপ করতে গিয়ে যাদবের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তামিম ৮২ বলে ৭টি চার আর ১টি ছক্কায় করেন ৭০ রান। মুশফিকের সঙ্গে ১২৩ রানের জুটি গড়েন তামিম। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচে দারুণ এক শতক পাওয়া সাকিব আল হাসান এবার বেশিক্ষণ টিকেননি। ইনিংসের ৩৫তম ওভারে বিদায় নেন সাকিব। জাদেজার বলে উইকেটের পেছনে ধোনির হাতে ধরা পড়ার আগে করেন ২৩ বলে ১৫ রান। দলীয় ১৭৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরই বিদায় নেন মুশফিকুর রহিম। যাদবের বলে কোহলির তালুবন্দি হওয়ার আগে মুশফিক ৮৫ বলে চারটি চারের সাহায্যে করেন ৬১ রান। দলীয় ১৭৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মোসাদ্দেক ফেরেন জাসপ্রিত বুমরাহর তালুবন্দি হয়ে। ব্যক্তিগত ১৫ রান করে বোলারের হাতেই ধরা পড়েন তিনি। বড় সংগ্রহের লক্ষ্যে অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ-মাশরাফির দিকে তাকিয়ে ছিল টাইগাররা। তবে, ইনিংসের ৪৫তম ওভারে বিদায় নেন মাহমুদুল্লাহ। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হওয়ার আগে তিনি ২৫ বলে করেন ২১ রান।
শেষ দিকে মাশরাফি ২৫ বলে ৫টি চারের সাহায্যে করেন অপরাজিত ৩০ রান। তাসকিন ১৪ বলে করেন ১১ রান। এই জুটিতে তারা অবিচ্ছিন্ন থাকেন ৩৫ রান তুলে।
ভারতের পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, জাসপ্রিত বুমরাহ আর কেদার যাদব দুটি করে উইকেট তুলে নেন। একটি উইকেট দখল করেন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।
Share on Google Plus

About Tangail24

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন