টাঙ্গাইলের বাসাইলে এক নববধূ ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে মাত্র ৩মাস আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে এই তরুণী। ভালবাসার মানুষকে কাছে পেয়েও কি কারণে তরুণীটি আত্মহত্যা করল, এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সৈদামপুর উত্তরপাড়া বাবা’র বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রুপা আক্তার (১৯) সৈদামপুর উত্তরপাড়ার ওয়ারেজ মিয়ার মেয়ে। রুপা বাসাইল এমদাদ হামিদা ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। নিহতের পরিবার জানায়, উপজেলার সুন্না দক্ষিণপাড়ার আজিজুল মিয়ার ছেলে একই কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন (২২) এর সাথে রুপা’র ৭ মাসের প্রেমের সম্পর্কের মাথায় গত জানুয়ারী মাসে দু’জনে পালিয়ে যায়। পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। ৭ মাস অপেক্ষা করে ভালবাসার মানুষকে কাছে পেয়ে ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু বিয়ের ৩মাসের মাথায় গত ২৮ এপ্রিল ( শুক্রবার) সকাল ১১টার দিকে রুপা তার বাবা’র বাড়িতে সবার অজান্তে ঘরের সিলিংয়ের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
নিহতের বাবা ওয়ারেজ মিয়া বলেন, রুপার সংসার তো ভালই চলছিল। কিন্তু কি কারণে রুপা আত্মহত্যা করেছে তা আমার জানা নেই।
নিহতের স্বামী সাব্বির হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার আমরা দু’জনেই কলেজে যাই এবং কলেজ থেকে শ্বশুড়বাড়ীতে আসি। আমার সাথে রুপার কোন মনোমালিন্য হয়নি। রুপা কেন আত্মহত্যা করল তা বুঝতে পারছিনা।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন