বাসাইলে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ


টাঙ্গাইলের বাসাইলে সোনা মিয়া সুন্সী (৬৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪) ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের বাংড়া দক্ষিণপাড়া এলাকায়। ধর্ষিতা মেয়েটি করটিয়া আবেদা খানম গালস হাইস্কুল এন্ড কলেজ এর ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। এঘটনায় স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথার এক সপ্তাহ পার হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না পরিবারটি। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির পেটের সন্তান নষ্ট করার জন্য অভিযুক্ত সোনা মিয়া বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে পরিবারটি অভিযোগ।
ধর্ষিতার পরিবার সুত্রে জানা যায়, নথখোলা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সোনা মিয়া মুন্সী ছাত্রীটির পরিবার নিরীহ হওয়ায় বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন। এই সুত্র ধরে তিনি মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতেন। গত ৭মাস আগে মেয়েটির মা তাকে সোনা মিয়ার বাড়িতে এক হাজার টাকার জন্য পাঠায়। সোনা মিয়া মেয়েটিকে একা পেয়ে ঘরের ভিতর নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলার হুমকি দেয় তিনি। মেরে ফেলার হুমকি দেয়ায় মেয়েটি বিষয়টি কাউকে জানায়নি।
সম্প্রতি মেয়েটির পেট উচু দেখায় পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা ধারণা করে হয়তো মেয়েটির পেটে পাথর জাতীয় কিছু হয়েছে। এ ধারণা নিয়ে গত রবিবার করটিয়ার একটি ক্লিনিকে মেয়েটিকে আল্ট্রাগ্রাম করালে ৭মাসের অন্তসত্ত্বা বলে ডাক্তার জানায়। পরে মেয়েটি তার পরিবারের কাছে ধর্ষণের বিবরণ দেন। পরে বিষয়টি অভিযুক্ত সোনা মিয়াকে জানালে তিনি মেয়েটির পেটের সন্তানটিকে নষ্ট করা জন্য এবং এক লাখ টাকা দিয়ে মিমাংশার কথা জানায় ।
ধর্ষিতা মেয়েটির মা বলেন, আমার এই একমাত্র মেয়েটি যখন পেটে তখন স্বামী অন্যজনকে বিয়ে করে আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আমি মেয়েটিকে নিয়ে ভাইয়ের বাড়িতে থাকি। সোনা মিয়া বিভিন্নভাবে টাকা পয়সা দিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন। মেয়েটিকে চাকরী নিয়ে দিবেন বলে বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। গত সাত মাস আগে এক হাজার টাকা ধার আনার জন্য মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠালে সোনা মিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । মেয়েটিকে হত্যার হুমকি দিয়ে বিষয়টি কাউকে না জানানোর কথা বলে ।
ধর্ষিতা ছাত্রী বলেন, সোনা মিয়া জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয় । করটিয়ার একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাগ্রাম করালে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে ডাক্তাররা জানায় ।
কাশিল ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা রাজিক বলেন, আমি বিষয়টি শুনে ধর্ষিতার বাড়িতে গিয়েছিলাম । এধরণের ঘৃণ কাজের জন্য অপরাধির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, বিষয়টি শুনে আমি সোমবার দুপুরে মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম। মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম খান সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, ধর্ষিতা মেয়ে ও তার মা থানায় এসেছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে ।
Share on Google Plus

About Tangail24

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন